ছোটদের রূপকথার গল্প | সাহসী বালক

new bangla golpo

একদা এক বালক এক বড় ধরনের অপরাধ করে ফেলেছিল। তাই তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য রাজার সিপাহীরা তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেল।

সিপাহী- মহারাজ, এই বালক বড় ধরনের অপরাধ করেছে।

বালক- মহারাজ, আপনি যা বলবেন তাই করব। দয়া করে আমাকে শাস্তি দেবেন না। আমি ভুলবসত অপরাধ করে ফেলেছি।

রাজা- আমি যা বলব তুমি তাই করবে?

বালক- হ্যাঁ, মহারাজ। 

রাজা তখন তাকে একটি কাজ করতে বলল। রাজার মন্ত্রী তাকে কাজটা বুঝিয়ে দিল।

রাজ্যের পাশের জঙ্গলের মাঝে একটি উপত্যকা আছে। সেই উপত্যকার ঠিক মাঝখানে একটি পাথুর গুহা আছে। সেই পাথুরে গুহার পথ ধরে হাঠতে থাকলে কিছুক্ষন পর গুহা শেষ হয়ে যাবে। গুহাটি পর একটি রুপকথার গল্প এর মত একটি সুন্দর বাগান রয়েছে। বাগানের এপাশে নদী আছে। তাকে এই নদী সাঁতরে পার হতে হবে।

মন্ত্রী তাকে এই নদীতে কুমির আছে বলে সাবধান করলো।

নদী পার হয়ে বাগানে পৌঁছে গেলে, সেখানে লাল রঙের এক ধরনের ফল রয়েছে। এইরকম লাল রঙের ফল বাগানে কেবলমাত্র একটিই রয়েছে। রাজা তাকে সেই লাল ফল তার জন্য এনে দিতে বললেন।

এই বাগানের অন্য রঙের ফল সে ছিরতে পারবে না। অন্য ফল ছিরলে সেই ফলের বিষে সে আর জীবিত থাকবে না।

তবে সে নদীর পানি খেতে পারবে। সেখানে যাওয়ার পথে অনেক বিপদ বলে তিনি বালকটিকে সাবধান করলেন। ফল আনতে পারলে তিনি তাকে উপযুক্ত পুরুস্কার দিবে বলে আশ্বাস দিলেন।

রাজা- তুমি কি ফল গুলো আমাকে এনে দিতে পারবে?

বালক- আমি আপনাকে লাল রঙের ফল এনে দিতে পারব। তবে আমার একটি ঘোড়া লাগবে।

বালকটি রাজার থেকে আরো কিছু চাইল। রাজা মন্ত্রীকে বালকটি যা চাইছে তা দিয়ে দিতে বলল। মন্ত্রী রাজার কথামতো বালকটিকে সকল জিনিসপ্ত্র ও একটি ঘোড়া দিলো। বালকটি রওনা হয়ার পূর্বে কয়েকদিন বাসায় থাকল।

কয়েকদিন পর সে বাগানের উদ্দেশ্য রওনা হলো। ঘোড়ায় চড়ে সে কোনোরকম বিপদ ছাড়াই রাজ্যের পাশের বনের কাছে পৌছে গেল। বনে পৌছাতে পৌছাতে রাত হয়ে গেছে। সে তখন সেই রাত্রের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় খুজছিল। জঙ্গলের ভিতর সে দেখল দূর থেকে আগুন জ্বলার আলো আসছে।

সেই আলো ধরে এগোতে এগোতে সে একটি পুরোনো কুঁড়েঘরের সামনে এসে পরল।

এই গহীন জঙ্গলে কুঁড়েঘর আসল কোথা থেকে। কেউ কি আছেন? বালকটি জিজ্ঞেস করল।


বালকটির মধ্যে একধরনের উত্তেজনা কাজ করছে। সে কিছুতেই কোনোরকম ভয় পাচ্ছে না। সে সাহস করে কুঁড়েঘরের আরো কাছে গেল।

কিছুক্ষন পর কুঁড়েঘর থেকে এক বৃদ্ধ বুড়ি বেরিয়ে এল। বুড়িকে দেখে বালকটি কিছুটা আশ্বস্ত হল।

আমি অনেক দূরদেশ থেকে এসেছি। আমাকে যদি আজকে রাতের জন্য আশ্রয় দেন তাহলে ভালো হয়। বালকটি বুড়িকে বলল।

বালকটি ভিতরে প্রবেশ করে দেখল ঘরটি বেশ পুরনো। ঘরটির এককোনায় একটি বড়সড় মাদুর পাতা। তাকে বুড়ী মাদুরে বসতে বলল।

সে মাদুরে বসে বুড়িকে জিজ্ঞাস করল- আপনি এই গহীন জঙ্গলে একা থাকেন কেন? আপনার কি কেউ নেই?

বুড়ি তখন তাকে নিজের কাহিনি বলল।

অনেক বছর আগে, আমি স্বামী ও একমাত্র ছেলের সাথে গ্রামে একসাথে বাস করতাম। একদিন রাজা আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে একটি লাল ফল আনতে বলল। সে যেতে চাইল না। কিন্তু রাজা তাকে হুকুম দিল যে সে ঐ ফল না আনলে তাদের সবাইকে রাজ্যছারা করবে।

আমার ছেলেও তার সাথে গেল। আমি কতবার যেতে না বললাম । কিন্তু সে তার বাবার সাথে যাবেই। তারা দুজন ফল আনার উদ্দেশ্যে চলে গেল। তারা আজও ফিরে এল না।

সে এখন সত্যি সত্যিই ভয় পেয়ে গেল। তার মধ্যে একধরনের দ্বিধা কাজ করল। সে কি ফিরে যাবে?



২য় পার্ট পড়ুনঃ ছোটদের গল্প রূপকথার গল্প সাহসী বালক পার্ট ২

Check Also

ছোটদের গল্প রূপকথার গল্প | সাহসী বালক পার্ট ৩

প্রথম পার্ট: ছোটদের রূপকথার গল্প সাহসী বালক দ্বিতীয় পার্ট: ছোটদের কাল্পনিক গল্প সাহসী বালক পার্ট ২ তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *